আত্মীয় স্বজনরা অমানবিক ভাবে ঘরের বাইরে ফেলে গেলেও ফেলতে পারেনি মানবিক পুলিশ। ফলে পুলিশী তত্বাবধানে ৫৬ বছর বয়েসি অসুস্থ ও মানসিক বৈকল্যসম্পন্ন শোভা বিশ্বাসের ঠাঁই হয়েছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। বুধবার রাতে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান সদর থাানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত এমদাদুল হক। শোভা বিশ্বাস এখন হাসপাতালের মহিলা (মেডিসিন) ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সদর থাানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত এমদাদুল হক জানান, লোকমুখে খবর পেয়ে তিনি শহরের ভুটিয়ারগাতি এলাকার মাহমুদ হাসান আলিফ নামের এক ব্যবসায়ির নির্মাণাধিন ছয়তলা বাড়ির নিচ থেকে সংজ্ঞাহীন ওই নারিকে উদ্ধার করেন। ওই নারীকে তার স্বজনরা ৪/৫ দিন আগে এখানে ফেলে যান। বিনা চিকিৎসা ও অভুক্ত থেকে শোভা বিশ্বাস সজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহয়োগিতায় পুলিশ শোভা বিশ্বাসকে বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। ভুটিয়ারগাতি গ্রামের আলিফ জানান, ৪/৫ দিন আগে কে বা কারা ওই নারীকে ফেলে রেখে যান। সেই থেকে কেউ তাকে খাবার দেয়নি, খোজও করেনি। ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক (ইএমও) ডা. নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন ভর্তির সময় তিনি এতটাই দুর্বল ছিলেন যে তেমন কিছুই বলতে পারছিলেন না। বেশ কিছুদিন অনাহারে থাকা এবং কিছুটা মানসিক সমস্যাক্রান্ত শোভা বিশ্বাস এখন কথা বলছেন, অস্পষ্ট গলায় অবিবাহিত ওই নারি তার বাবার নাম তারক চান্দ্র দাস এবং বাড়ি রামপালের গিলেতলা বলে উল্লেখ করছেন।