প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে তারা আবার ভূলুণ্ঠিত হবে। বুধবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবনে থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, দলকে তৃণমূল থেকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কাউন্সিলগুলো করতে না পারলেও সাংগঠনিক তৎপরতায় যাতে ঢিল না দেওয়া হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
দলের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ৭২ বছর আওয়ামী লীগের বয়স হলো। এই সাব কন্টিনেন্টের সব থেকে প্রবীণ পার্টি। এই দলই পারবে এদেশে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে।
‘এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যেন কখনো কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেজন্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতা-কর্মী, সেটাই আমি চাই। এদেশের মানুষের ভাগ্য যেন আমরা পরিবর্তন করে দিয়ে যেতে পারি, সেইভাবেই সবাই কাজ করবেন।’
করোনার টিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ টিকার অপর্যাপ্ততা নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন, ‘তাদের বলব একটু ধৈর্য ধরেন। তারপর দেখেন আমরা কতটুকু কী করতে পারি। তারপর সমালোচনা করেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দেশ যেখানে এখনও টিকা দেওয়া শুরু করতে পারেনি, সেখানে তার সরকার আগে পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে তা শুরু করা গেছে পাঁচ মাস আগে। ভারতে যখন মহামারী ব্যাপকভাবে শুরু হল, তারা ভ্যাকসিন রপ্তানি করা বন্ধ করে দেওয়াতে আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা এখন আবার ভ্যাকসিন কিনতে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।’
সমালোচকদের নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার খুব দুঃখ লাগে, যাদেরকে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগেভাগে ভ্যাকসিন দিয়েছি, দুই ডোজ দেওয়ার পর তারা এখন সমালোচনা করে। অথচ তারাই কিন্তু সবার আগে নিয়েছে। তারাই আবার বড় বড় সমালোচনার কথা …. একে গালি ওকে গালি…. অনেক কিছু দেন, আমরা শুনি।
তারা যখন টিকা নিয়েছিলেন, তখন তো এই কথা বলেননি। এখন আবার সমালোচনা কেন?”
বাংলাদেশে যেন ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করা যায়, সেই ব্যবস্থাও সরকার করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। আমরা যেন নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারি, তার জন্য আমাদের ফার্মসিউটিক্যাল তৈরি করা দরকার।’
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্তে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ।