ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে শুভ সূচনা করল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিল টাইগাররা।
শনিবার ভারতের ধর্মশালায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সাকিব-মিরাজদের স্পিন আর শরিফুল-তাসকিন-মোস্তাফিজদের গতির মুখে পড়ে ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানেই অলআউট হয় আফগানিস্তান।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩০০ বলে মাত্র ১৫৭ রান। সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২৭ রানেই দুই ওপোনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাসের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে তারা ১২৯ বলে ৯৭ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান তারা।
জয়ের জন্য শেষ দিকে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩২। খেলার এমন অবস্থায় উইকেট হারান মিরাজ।
ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে তিনবার লাইফ পেয়ে ৭৩ বল মোকাবেলায় ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ রান করে ফেরেন মিরাজ।
মিরাজ আউট হওয়ার পর ১৯ বলে ১৪ রান করে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। সাকিব আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিকুর রহিম। তিনি শান্তর সঙ্গে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন।
এই অলরাউন্ডার যখন আউট হন তখন বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২৮.১ ওভারে তিন উইকেট ১২৪ রান। জয়ের জন্য শেষ দিকে প্রয়োজন মাত্র ৩২।
শনিবার ভারতের ধর্মশালায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ঘুর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে ৮৩ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
২৪.৩ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১১২ রান। এমন ভালো পজিশনে থাকা দলটি বড় স্কোর গড়ার পথেই ছিল।
এরপর আফগান শিবিরে একের পর এক আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদরা। তাদের তোপের মুখে পড়ে ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানেই অলআউট হয় আফগানরা।
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে আফগানিস্তান। ওপেনিং জুটিতে ৪৭ রান করেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরা। তাদের এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান সাকিব আল হাসান।
সাকিকের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২২ রান করেন ইবরাহিম জাদরান।এরপর ফের আফগান শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ১৮ রানে ফেরেন ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা রহমত শাহ।
এরপর আফগান শিবিরে একের পর এক আঘাত হানেন মেহিদ হাসান মিরাজ ও পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। অফ স্পিনার মিরাজের বলে তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। তিনি ৩৮ বলে ১৮ রান করে আউট হন।
ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরান মোস্তাফিজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৬২ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রানে করে ফেরেন গুরবাজ।
সাকিব আল হাসানের তৃৃতীয় শিকারে পরিনত হন নজিবুল্লাহ জাদরান। তিনি বোল্ড হওয়ার আগে ১৩ বলে ৫ রান করার সুযোগ পান।
এরপর নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবিকে বোল্ড করে ফেরান পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বিদায়ে ২৯.৬ ওভারে ১২৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
শেষ দিকে আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মুজিব-উর রহমান ও নাভিন উল হক। একেরপর এক উইকেট পতনের কারণে ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানেই ইনিংস গুটায় আফগানরা।
বাংলাদেশ দলের হয়ে দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৩টি করে উইকেট নেন। দুই উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।