রাজনীতির মাঠে বিরোধ আছে। আছে আদর্শগত মতপার্থক্য। কিন্তু প্রেম ভালোবাসা মানে না কুটিল রাজনীতি ও আদর্শগত মতপার্থক্যের বেড়াজাল। যুগে যুগে প্রেম অমর অবিনশ্বর। তাইতো পে্েরমরে টানে ঘর ছেড়েছেন ঝিনাইদহ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আ’লীগ নেত্রী খালেদা খানমের মেয়ে সোহেলী আহম্মদ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাজেদুর রহমান পপ্পু। তাদের এই অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর খবর ঝিনাইদহ শহরে টক অব দি টাউনে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় সোহেলীর স্বামী বিল্লাল হোসেন লিটন বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। জানা যায়, ঝিনাইদহ-মাগুরা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম’র মেয়ে সোহেলী আহম্মেদ শহরের খন্দকার পাড়ায় মায়ের বাসায় থাকতেন। ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাজেদুর রহমান পপ্পুর সাথে সোহেলীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এ ঘটনার পর সোহেলীর স্বামী বিল্লাল হোসেন লিটন বাদি হয়ে সাজেদুর রহমান পপ্পু ও একই এলাকার তৌফিক হোসেনের নাম উল্লেখ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বেশ কয়েকদিন যাবত সোহেলীকে আসামীরা উত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় সোহেলীকে পপ্পু ও তৌফিক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিল্লাল হোসেন লিটন বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আমার স্ত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালেদা খানম বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তার রানৈতিক প্রতিপক্ষ তার অবস্থান ও সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মেয়েকে অপহরণ করেছে। তিনি তার মেয়ের জীবন নিয়ে আশংকা প্রকাশ করে আবেগজড়িত কন্ঠে জানান, অপহরণের পর তার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তা নিয়েও আমি শংকিত। তিনি তার মেয়েকে অক্ষত ভাবে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে এটি অপহরণ নাকি প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন তা সোহেলীকে উদ্ধারের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। মামলাটি ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আজিজুল ইসলাম তদন্ত করছেন। উল্লেখ্য, মহিলা এমপির কন্যা সোহেলীর ১০ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তিনি সম্প্রতি ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া আলীয়া মাদ্রাসায় চাকুরীও নিয়েছেন। অন্যদিকে সাজেদুর রহমান পপ্পুর স্ত্রী শৈলকুপার একটি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক। এই দম্পত্তিরও সন্তান রয়েছে।