ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেলের বিরুদ্ধে মন্ত্রনালয় থেকে পাঠানো বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিস। কাজ না করে ভুয়া শ্রমিক দিখেয়ে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, এডিবির টাকায় কেনা টিউবওয়েল স্থাপন না করে আত্মসাৎ ও জন্ম নিববন্ধন সনদ নিতে গেলে এক ব্যক্তিকে জুতা দিয়ে মারপিট করাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান রাসেলের বিরুদ্ধে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা এ সব তথ্য দিয়ে বলেন, আজ (২৯ আগষ্ট) রোববার মৌখিক একটি দিন ছিল। কিন্তু সাক্ষিরা আসতে পারবে না বলে আগামী ৫ সেপ্টম্বর শুনানীর দিন ধার্য্য করা হয়েছে। ইউএনও জানান, শুনানীর পরই অভিযোগগুলোর সরেজমিন তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন পত্রিকায় কর্মসৃজন ও এডিবির টাকায় কেনা টিউবওয়েল নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর মন্ত্রনালয় থেকে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যাক্তি লিখিত অভিযোগ করেন। সব অভিযোগের শুনানী ৫ সেপ্টম্বর এক সঙ্গে করা হবে। এদিকে ইউনিয়নবাসির অভিযোগ করেন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার চেয়ারম্যান নিজের রাজনৈতিক অফিসে স্থাপন করেছেন। এ নিয়ে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সেবা গ্রহীতা ভয়ে তার রাজনৈতিক অফিসে যেতে পারেন না। এর আগে একজনকে জুতা দিয়ে মারধর করতে গেলে খবরটি জানাজানি হলে মানুষ আতংকে পড়ে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের পাশাপাশি এজেন্ট ব্যাংকিংও তার রাজনৈতিক অফিসে করা হয়েছে। ইউনিয়ন ডিজটাল সেন্টার থাকবে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে চেয়ারম্যান রাসেল তার নিজের অফিসে নিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানানন মানুষের সুবিধার জন্য হয়তো চেয়ারম্যান বাজারে করেছে। বিষয়টি আমি জানলেও কেও কোনদিন অভিযোগ করেনি। বিষয়টি আমি দেখছি। তবে চেয়ারম্যান রাসেলের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।