ঝিনাইদহে মৃত্যু শোকে আহাজারি বাড়ছে। ভারি হচ্ছে পরিবেশ। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের হিসাব। করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর থেকে এই প্রথম এই রোগে মৃত্যুর খবর শুনে মানুষ আৎকে উঠলেও এখন প্রতিদিন ৭/৮ জন করে এই রোগে আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে। মৃত্যুর খবরে মানুষ আর তেমন বিচলিত নয়। খবরগুলো নিজেদের ফেসবুকের টাইম লাইনে দিয়েই শেষ। জানাচ্ছেন শোক। কিন্তু যে পরিবারের একজন উর্পজনক্ষম মানুষটি চলে যাচ্ছে সেই পরিবারে হা-হুতাশ যেন কমছেই না। মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াাল থাবা ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্কর হচ্ছে দিনকে দিন। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ঝিনাইদহের ৬৭টি ইউনিয়নে হুহু করে মৃত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৬ মাস পার হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ঝিনাইদহ জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মারা গেছে ২৬৩ জন। এই মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে গড়মিল রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইইডিসিআরের তথ্য মতে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ঝিনাইদহে মৃত্যু দখোনো হয়েছে ২৫৮ জন। বৃহস্পতিবার মারা গেছে আরো ৫ জন। সব মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬০ জন হলেও ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে ১৯৪ জনের কথা। বাকী ৬৬ জনের কথা উল্লেখ নেই। অন্যদিকে ঝিনাইদহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লাশ দাফন করেছে ১৫৭ জনের। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের করোনার নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্তের তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, ২৮ জুলাই পর্যন্ত দেশে সর্বমোট মৃত ২০ হাজার ১৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চসংখ্যক ৯ হাজার ২৭৩ জন রয়েছেন। আর সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ বিভাগে ৫২২ জনের। খুলনা বিভাগের সর্বমোট দুই হাজার ৬৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বাগেরহাটে ১৯১ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২০৬ জন, যশোরে ৪০৫ জন, ঝিনাইদহে ২৫৮ জন, খুলনায় ৫২২ জন, কুষ্টিয়ায় ৬০১ জন, মাগুরায় ৯০ জন, মেহেরপুরে ১৫৮ জন, নড়াাইলে ১২২ জন এবং সাতক্ষীরায় ৯২ জন রয়েছেন।