ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শিশু আলামিন হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষি তরিকুল ইসলাম পলাশকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হত্যা মামলার সাক্ষি হওয়ার কারণেই আসামীরা তাকেও হত্যার ছক আঁটে। আহত পলাশ পুলিশের উপর হামলা মামলারও স্বাক্ষী। মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত তরিকুল ইসলাম পলাশ কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন বিশ^াসের ছেলে। আহত পলাশ বলেন, আড়পাড়া এলাকার শিশু আলামিন হত্যা ও পুলিশের উপর হামলা মামলার স্বাক্ষী তিনি। আর এই স্বাক্ষী হওয়ার কারণে মঙ্গলবার সকালে আসামী শওকত আলী বিশ^াস, তার ছেলে অপু বিশ^াস ও ভাই লিটন বিশ^াস অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা সবাই পুলিশের উপর হামলা মামলার আসামি। তিনি অভিযোগ করে সাক্ষি হওয়ার পর থেকেই আসামীরা তার উপর ক্ষুদ্ধ। বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসতো আসামিরা। পলাশের ভাই মোশাররফ হোসেন জানান, এর আগে তার মা ও বোনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, এ ব্যাপারে এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। কারণ সাক্ষিদের সুরক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর আড়পাড়া এলাকায় বাড়ির পাশে ওয়াজ শুনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মাদ্রাসাছাত্র শিশু আলামিন। ৪ ডিসেম্বর আড়পাড়া এলাকার একটি ৪ তলা ভবনের পিছন থেকে আল আমিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশু আলামিনের পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করতে এসে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের এসআই সোহেল রানা। হত্যা ও পুলিশের উপর হামলা মামলার সাক্ষি হন হামলায় আহত তরিকুল ইসলাম পলাশ।