মুজিববর্ষ উপলক্ষে পুলিশ লাইন্স কুষ্টিয়ায় ৬’শ উন্নত মানের তাইওয়ান জাতের ‘রেড লেডী পেঁপে’ গাছ রোপন করেন পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিজ উদ্যোগে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সের অভ্যন্তরে মুজিববর্ষের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ফলজ বৃক্ষ তাইওয়ানের ‘রেড লেডি পেঁপে’ গাছ রোপন করেন। এ কর্মসূচীর আওতায় ১৫ হাজার দেশী – বিদেশী উন্নত জাতের পেঁপে গাছ রোপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে প্রথম পর্যায়ে পুলিশ লাইন্সের অব্যবহৃত জায়গাতে সকল অফিসার ও ফোর্সকে একসাথে নিয়ে পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া সারিবদ্ধভাবে ৬’শত তাইওয়ানের ‘রেড লেডী পেঁপে’ গাছ রোপন এবং প্রাথমিকভাবে গাছের পরিচর্চা করেন। ফলজ বৃক্ষের মধ্যে পেঁপে একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। পেঁপে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিগুন বিবেচনায় পেঁপে অনেক ফলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, বাংলাদেশের মাটি খুবই উর্বর। এই মাটিতে আমরা সব ধরনের গাছই লাগাতে পারি। তিনি আরো বলেন,’টেকসই উন্নয়ন, সমৃদ্ধ দেশ, নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ ‘ গঠন করতে আমাদের প্রতি ইঞ্চি জমি উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। অফিসার ও ফোর্সের সামগ্রিক কল্যানের কথা বিবেচনা ও পুলিশ লাইন্স থেকে অর্গানিক ফল প্রাপ্তির আশায় পুলিশ সুপার খাইরুল আলম নিজ উদ্যোগে পেঁপে গাছ রোপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), ফরহাদ হোসেন খাঁন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা), রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর), আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, ছাব্বিরুল আলম, অফিসার ইনচার্জ, কুষ্টিয়া মডেল থানা, আর.ও.আই, আর.আই, টিআই-১, ওসি ডিবি, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ও জেলা পুলিশের সকল অফিসার ও ফোর্স।
পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, তাইওয়ানের উন্নতজাতের ১৫ হাজার পেঁপে গাছ রোপন করার উদ্যোগ গ্রহন করেছি। ৩ মাসের মধ্যে গাছজুড়ে পেঁপে আসবে। আমি কুষ্টিয়ায় যোগদানের পর যে পেঁপে গাছ রোপন করেছিলাম সেগুলো এখন পাতা পল্লবে ভরে উঠেছে। এমনিভাবে ১৫ হাজার পেঁপে গাছ থেকে যদি বছরে প্রতিটি গাছ থেকে ১৫’শ করে টাকা আয় হয় তাহলে এক বছরে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা আয় হবে জেলা পুলিশের। এর থেকে সব বাদ দিয়ে যদি অর্ধেকও আসে তাহলেও ১ কোটির নীচে নয়। একদিকে আমার পরিশ্রমী পু্লিশ বাহিনীর শরীরে পুষ্টি যোগাবে এই ফল আবার অসচ্ছল, অসুস্থ, আহত ও প্রয়াত পুলিশ সদস্যের পরিবারে পাশে আর্থিকভাবে দাঁড়াতে পারবে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। শুধু পুলিশের নয় কুষ্টিয়ার বাজার থেকে সুলভ মুল্যে সাধারন মানুষের মাঝেও এই পেঁপে পুষ্টিগুন ছড়াবে।
পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের পরম মমতাময় ফলদ গাছগুলো দিনে দিনে বেড়ে উঠছে। পুলিশ লাইন্সের সংরক্ষিত, শতভাগ নিরাপদ জায়গায় এবং পুলিশ সদস্যদের পরিচর্যায় সবুজের সমারোহে পরিণত হবে গাছগুলো। সেই সাথে পুলিশ সুপারের ভালবাসায় ফুল আর ফলে ভরে উঠবে হাজার হাজার পেঁপে গাছ।