৪০ পুরো করে গতকাল ৪১–এ পা দিলেন ক্রিস ইভানস। স্বনামে যাঁরা তাঁকে চেনেন না, তাঁরা ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ হিসেবে অন্তত তাঁকে চিনবেন। অনেক কিছুই দিয়েছে তাঁকে এই চরিত্র। অথচ প্রথম যখন এই চরিত্র করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, বলেছিলেন, ‘না, থাক।’
আর এখন ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ বা স্টিভ রজার্স চরিত্রে ক্রিস ছাড়া অন্য কাউকে মেনে নেওয়া ভক্তদের জন্য প্রায় অসম্ভব। ‘দ্য ফ্যালকন অ্যান্ড দ্য উইন্টার সোলজার’ টিভি সিরিজে যখন ওয়াইট রাসেল চরিত্রটি করেন, ফুঁসে উঠেছিলেন দর্শকেরা। যদিও তাঁরা জানতেন, এ চরিত্রে তিনি সাময়িক। তবু তাঁরা অনলাইনে ‘নট মাই ক্যাপ’ (সে আমার ক্যাপ্টেন না) প্রচারণা শুরু করেন। আর এখন সেই জায়গা নিয়েছেন স্যাম উইলসন আর মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতাও পেয়ে গেছেন। কেননা, দেখতে তিনি অনেকটা স্টিভেরই মতো। তবে তারপরও ক্যারিশম্যাটিক উপস্থিতি, বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় ও চরিত্রায়ণের জন্য আদর্শ ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’র সম্মান ক্রিস ইভানসই পাবেন।
অথচ চরিত্রটা যখন ক্রিসকে দেওয়া হয়, প্রস্তাবটা তাঁর কাছে অতটা লোভনীয় মনে হয়নি। তার ওপর আবার ছবির প্রযোজক মার্ভেল স্টুডিওর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ চুক্তিতে যেতে হতো। তখন তিনি ‘জনি স্ট্রর্ম’ বা ‘হিউম্যান টর্চ’ চরিত্রটি করছিলেন। ‘হিউম্যান টর্চ’ হিসেবে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ ও ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: রাইজ অব দ্য সিলভার সার্ফার’ ছবি দুটিতে কাজ করেছিলেন তিনি।