দুরন্ত প্রকাশ ডেস্ক:
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেস্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “গণভবনকে জনগণ যে অবস্থায় রেখেছেন সে অবস্থায় থাকবে, অর্থাৎ গণভবনের বর্তমান অবস্থার বড় কোনো পরিবর্তন না করেই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করবে সরকার।”
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে জাদুঘর করার প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এ সময় তিনি বলেন, “যে গণভবনটি ছিল, যেখানে ফ্যাসিজমের আখড়া হয়েছিল। আমরা দেখেছি যে, আগে সবাই গণভবনমুখি হয়ে থাকতো। আমরা দেখেছি, কারও ডিভোর্স হয়েছে, সেও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পূর্বাচলে কারও প্লট লাগবে, সেও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পঞ্চগড়ে কারও একটা ব্যক্তিগত সমস্যা, সেও প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অর্থাৎ এই গণভবনটাই ছিল ফ্যাসিজমের একটা আখড়া। এই গণভবনকে স্থায়ীভাবে একটি জাদুঘর করার জন্য আমরা প্রস্তাব করব।”