১৯৪৩ সালে ২২ এপ্রিল নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন ইহুদি বংশোদ্ভূত লুইস গ্লুক। তিনি বেড়ে ওঠেন যুক্তরাষ্ট্রের লং আইল্যান্ডে। সারাহ লরেন্স কলেজ এবং কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন তিনি। লুইস গ্লুক ১৯৬৭ সালে প্রথম বিয়ে করেছিলেন চার্লস হার্টজ জুনিয়রকে।
তার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন জন ড্রানোকে। এই দম্পতির নোয়াহ নামে একজন পুত্র রয়েছে।
লুইস গ্লুকের প্রথম কবিতার বই ‘ফার্স্টবর্ন’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। দুঃখ, স্মৃতিচারণ ও দার্শনিক অন্তর্দৃষ্টির সঙ্গে ধ্রুপদী পৌরাণিক গল্পের মেলবন্ধনে নিজের কথা সাজাতেন গ্লুক।
গ্লুক কবিতা ছাড়াও সাহিত্যের নানা শাখায় কাজ করেছেন। প্রকাশ করেছেন প্রবন্ধ, সংক্ষিপ্ত গদ্য ও ফিকশন।
১৯৯৩ সালে কবিতার বই ‘ওয়াইল্ড আইরিস’-এর জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পান লুইস গ্লুক। অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে দ্য সেভেন এজস, দ্য ট্রায়াম্ফ অব অ্যাকিলিস, ভিটা নোভা এবং ১৯৬২-২০১২ সালে লেখা কবিতার সংকলন।
পুলিৎজার ছাড়াও সমগ্র সাহিত্যকীর্তির জন্য ২০০১ সালে পান বোলিংজেন পুরস্কার, ২০১৪ সালে ‘ফেইথফুল অ্যান্ড ভার্চুয়াস নাইট’-এর জন্য ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড।
কয়েক দশকের শক্তিশালী গীতিকবিতার জন্য ২০১৫ সালে ন্যাশনাল হিউম্যানিটিজ মেডেল। তিনি ২০০৩-০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পয়েট লরিয়েট নিযুক্ত হন। এ ছাড়া স্ট্যানফোর্ড ও ইয়েলের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন।
সূত্র: বিবিসি