চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার বেণীপুর বাওড় পাড়ের মানুষের জীবিকা ও অর্থ উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন মৎস্য চাষ।দরিদ্র জেলে সদস্যেদের নিয়ে গঠিত ধান্যখোলা বাওড়পাড় সমবায় সমিতি, তারা বাওড়ের অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের বংশবিস্তারের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে। এখান হতে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। যা এলাকার ও দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে যতেষ্ট কার্যকারিতা বহণ করে।
কতৃপক্ষের কাছ থেকে ৯০এর দশক হতে এই বাওড় ৫০ বছরের জন্য লিজে নেয় বেণীপুরের মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা। মৎস্যজীবী সদস্যদের নথিপত্র দেখে জানা গেছে, এখনো ২০ বছর বাওড়ে মাছ চাষের অনুমোদন রয়েছে তাদের।
মৎস্যজীবী পরিবারের উপরে বে-আইনি ও রাজনৈতিক প্রভাভ সৃষ্টি করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বাওড় দখলে নিয়ে নিজেদের সার্থ রক্ষা করতে চায় একই গ্রামের প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি।
বর্তমানে রাজনৈতিক ছত্রছায়ার আদলে বেপরোয়াভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে বাওড় নিজেদের কব্জায় নিয়ে বে-আইনি ভাবে দখল করে নিজেদের সার্থ সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর এবং বাওড়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হুমকি দিচ্ছে নব-মুসলিম হারুনর রশীদ(৪০), পিতাঃ মৃত- দুলা হালদার (৪৫), মোঃ খলিল, পিতাঃ মৃত-সবা মন্ডল।
বাওড়ের সভাপতি দীন মুহাম্মদ ও সেক্রেটারি শ্রী পূর্ণ হালদার এবং ক্যাশিয়ার মিনতাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বেনীপুর বাওড়ের ১১৫জন সদস্য নিয়ে মৎস্য অফিসের সামনে মনববন্ধন করে মৎস্যজীবী ও বাওড়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবং মধ্যবিত্ত মৎস্যজীবী পরিবারের কিছু মহিলা সদস্য এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে এবং একমাত্র উপার্জনের অবলম্বন বাওড়ে যেন তারা মৎস্য আহরণ করতে পারে,যার মাধ্যমে পরিবারের মুখে আহার যোগাতে পারে,এটাই মৎস্যজীবী সদস্যদের দাবী।