১৯৪৭ সালে দেশ বি-ভাগের পরপরই আনসার বাহিনী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভিডিপি গঠিত হয়ে আজ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাহিনী বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ অবধি দেশের সার্বিক কল্যাণে এই বাহিনীর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ‘শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা’ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে এ বাহিনী আজ সমগ্র বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলারক্ষা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ভোলা জেলা কমান্ড্যান্ট আহসান উল্লাহর সফল নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে ভোলার আনসার ভিডিপি। বিগত দিনে দেশে জঙ্গি ভয়াবহতার সময় জঙ্গি দমনে ভোলার আনসার ও ভিডিপি সক্রিয় ভুমিকা পালন করে। জেলা কমান্ড্যান্টের নেতৃত্বে ভোলাতে প্রথমবারের মত জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে জঙ্গি দমনে মানুষকে সচেতনতামূলক পরামর্শ দিয়ে ভোলাকে জঙ্গি হামলা থেকে বাচাঁতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।
দূর্গাপূজা চলাকালিন সময়ে সব রকম নাশকতামূলক কার্যকলাপ ঠেকাতে জেলা কমান্ড্যান্টের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পূজা মন্ডবের গুরুত্ত্বপূর্ণ পয়েন্ট পরিদর্শণ করেন। এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদেরকে তৎপর রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভুমিকা পালন করে জনগনের মাঝে আনসার ও ভিডিপি বাহিনীর সুনাম অর্জন বয়ে আনেন।
২০২০ সালের ১২ মার্চ ভোলা জেলা কমান্ড্যান্ট পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভোলার আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা আশার আলো দেখতে পায়। জেলার আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মধ্যে ফিরে আসে সক্রিয় শৃঙ্খলাবোধ ও কঠোর নিয়মানুবর্তিতা। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটান। গাছের পরিচর্যা থেকে শুরু করে ভবনটিতে অফিসিয়াল সকল কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করে আসছেন।
আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে নিয়মিত হাজিরা ডাকার ব্যবস্থা করেন। অফিস চলাকালিন সময়ে সকলকে সরকারী পোষাক (ইউনিফর্ম) পড়ে ডিউটিতে আসতে নির্দেশ দেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে অস্ত্রসহ প্যারেড করানো হয়।
ভোলার আনসার ও ভিডিপি ভবনে জেলা কমান্ড্যান্টের প্রচেষ্টায় আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জেলা কমান্ড্যান্টের উদ্যোগে ভোলার আনসার ও ভিডিপির পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। শীতকালীন সময়ে গরিব অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরন করেন।
শুধু তাই নয়। গত ৬ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত ভোলার আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে চলমান ভিডিপির ২১ দিন ব্যাপি অস্ত্রসহ মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ১৩ দিন ব্যাপি কোর্স চলাকালিন সময়ে জেলা কমান্ড্যান্ট নিয়মিত উপস্থিত থেকে নিজের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। প্রশিক্ষণার্থীরা যাতে সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহন করে দেশ ও জাতির শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে সে বিষয়ে তাঁদেরকে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের বিশ্রামের জন্য থাকা উন্নত খাবার পরিবেশন এবং তাদের শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়া থানা পর্যায়ে গ্রাম ভিত্তিক ১০ দিন ব্যাপি ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স চলাকালিন সময়ে যাতে প্রশিক্ষণার্থীরা সঠিক প্রশিক্ষণ নিতে পারে সে বিষয়ে নজর রেখে জেলা কমান্ড্যান্ট দূর্যোগপূর্ন এলাকাতেও দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে পায়ে হেটে গ্রাম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন ও প্রশিক্ষণার্থীদেরকে সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদানে সার্বিক সহযোগীতা করেন।
সর্ব মহলের বিশ্বাস ভোলার জেলা কমান্ড্যান্ট আহসান উল্লাহ তার সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে ভোলার আনসার ও ভিডিপি কে সফল ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করে সারা দেশে ভোলার আনসার ও ভিডিপির সূনাম অর্জন বয়ে আনবে।