ঝিনাইদহের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আল মামুন জেনারেল হাসপাতালে সাকিব হাসান(১৭)এক যুবকের ভূল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে।সাকিবের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামে।তার পিতা: মোঃ আব্দুল আজিজের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় ,পেটে ব্যথা জনিত কারনে গত ০২/১০/২০২৩ তারিখে চুয়াডাঙ্গা আরাপুর রোডে অবস্থিত আল মামুন জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে কর্তব্যরত ডাঃ রাজিবুল হাসান রোগী দেখে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেয় ।রোগীর অভিযোগ টেস্টগুলো না দেখেই ডাঃ রাজিবুল ইসলাম জানায় আপনার ছেলের এ্যাপেনডিক্স অপারেশন করতে হবে।রীতিমত দরদাম ঠিক করে ভর্তি নিয়ে অপারেশন করে।অপারশনের পর থেকেই আমার ছেলে সাকিব আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।ক্লিনিকের রেজিস্ট্রি খাতায় সার্জারি ডাঃ রাজিবুল ইসলাম এবং এ্যানেসথেসিয়া ডাঃ মারুফের নাম থাকলেও তাদের স্বাক্ষর ছিলনা।০৬/১০/২০২৩ তারিখে পর ক্লিনিক থেকে সাকিবকে রিলিজ নেওয়ার পর তার অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে।বাধ্য হয়ে শনিবার সকাল ১১.৩০ মিনিটে আবার সাকিবকে ক্লিনিকে নিয়ে আসে তার স্বজনরা।সাকিবের পিতা আজিজ অভিযোগ করে বলেন আমার সাথে কোন পরামর্শ না করেই তড়িঘড়ি করে আবার আমার ছেলেকে পুনঃরায় অপারেশনের জন্য ওটিতে নিয়ে গেছে এবং প্রায় ৩ ঘন্টা যাবৎ আমার ছেলেটাকে নিয়ে কাটাছেড়া করছে।অপারেশনের পূর্বে আমি আমার ছেলের সমস্যা কি হয়েছে জানতে চাই এবং আলট্রাসনো রিপোর্ট দেখতে চাইলে আমাকে রিপোর্ট দেখানো হয়নি।বরং সেখানে উপস্থিত ক্লিনিকের মালিক ডাঃ রাশেদ আল মামুন বলেন আমাদের ডাক্তারদের একটু ভূল হয়েছে।আমারা সব ডাক্তাররা বসে মেডিকেল টিম বসিয়ে পুনঃরায় অপারেশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি ।আমার কোন কথাই ক্লিনিক কতৃপক্ষ শোনেনি।আমি এর বিচার চাই।এই মর্মে সদর উপজেলার কুটি দূর্গাপুরের দেলোয়ার অভিযোগ করে বলেন আমার বোনকে আমি এই ক্লিনিকে ভর্তি করেছিলাম কিন্তু তাদের ভূল চিকিৎসায় সদ্যজাত আমার ভাগ্নের মৃত্যু হয়।এখানে উল্লেখ্য এই অবৈধ ক্লিনিক আল মামুন জেনারেল হাসপাতালে প্রায়শই চিকিৎসার অবহেলায় এবং ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ঘটে।দক্ষ প্যাথলজিস্ট না থাকায় মানহীন পরীক্ষা নিরীক্ষার কম্পিটার কপি বের করে সে অনুপাতে চিকিৎসা প্রদান করে রোগীর জিবন নিয়ে খেলা করাই এই ক্লিনিকের কর্তিপক্ষের কাজ।