বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত। সোমবার ১০ জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকূপায় শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঝিনাইদহের অন্যতম আর উপজেলার সেরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর শত শত শিক্ষার্থী এখান হতে উচ্চ মাধ্যমিক আর অনার্স শেষে দেশের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন ভর্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়ন করছেন। এই কলেজে দীর্ঘ মহামারী প্রকোপ শেষে বন্ধের পর আয়োজিত এটিই প্রথম অনুষ্ঠান।
প্রথমে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার শেফালি বেগম, সরোয়ার জাহান বাদশা, আশফাক মাহমুদ জন, ত্রিবেণী ইউনিয়নের নবনিবার্চীত চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মোল্লা, ঝিনাইদহ জেলার আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু । প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাননীয় সংসদ সদস্য ঝিনাইদহ-১ মোঃ আব্দুল হাই। শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মঈন উদ্দিন আহমদ, অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলাম । ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আশরাফুল ইসলাম, সেজুতি মল্লিক, দীপু হোসেন প্রমোক। মেডিকেলে চান্সপ্রপ্ত, ইঞ্জিনিয়ারিং চান্সপ্রাপ্ত আর ঢাবিতে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আসাদুর রহমান শাহিন বলেন, শিক্ষা মানুষের মেরুদণ্ড। আমরা আমাদের এই কলেজকে ইতোমধ্যে ঝিনাইদহের অন্যতম এবং উপজেলার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের মিশন আমরা দেশসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেমন রয়েছে অমীয় গৌরব তেমনি রয়েছে কিছু অবকাঠানোগত সমস্যা। করোনাময় সময়ে আমরা প্রতিনিয়ত সকল শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিয়ে সক্ষম হয়েছি ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-১ সংসদ আব্দুল হাই তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ সময় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলাম।এই কলেজের উচ্চ কোন বিল্ডিং ব্যবস্থা না থাকলেও এখান হতে বের হয় উচ্চশিক্ষিত শিক্ষার্থী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। আমি অনেকবার এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল সমস্যা সমাধানে আমি সর্বদা পাশে থাকবো। এখানের সকল শিক্ষার্থী আমার ছেলে মেয়ের মতো। আমি শুধু এই বলতে চাই, আমাদের সকলদের আগে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ মতো কাজ করতে হবে। দেশ আমাদের মা। দেশকে ভালো কিছু উপহার দিয়ে দেশের কথা মনে রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশটি মহাপরিকল্পনা নিয়েছেন তা যদি বাস্তবায়ণ করা যায় তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে।ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য বলেন তোমারাই হবে ভবিষ্যৎ সেই কাফেলার সৈনিক। সংবর্ধনা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শেষে শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ ও গান পরিবেশন করে।