ঝিনাইদহে সমতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যশয্যায় সুফিয়া(৭০) নামের এক মা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সমতা ডায়াগনস্টিকে ডাক্তার মোকাররম হোসেনের কাছে আসেন সুফিয়া খাতুন। কোন রকম পর্যবেক্ষণ ছাড়াই দায়সারাভাবে প্রেসক্রিপশন করে দেন, ভুক্তভোগী সুফিয়া ডাক্তার মোকাররম হোসেনের করা প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে, তার সমস্ত শরীর ঝলসে যায়। এমতাবস্থায় সুফিয়া খাতুনের ছেলে আসাদ পরদিন সমতা ডায়াগনস্টিকে আসলে ডাক্তার মোকাররম হোসেন রোগী সুফিয়া খাতুনকে না দেখেই অন্য কোথাও নিয়ে যেতে বলেন, উপায়ন্তর না দেখে সুফিয়া খাতুনকে নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার ছেলে আসাদ। সেখানে ডাক্তাররা তাকে দেখেই ভুল চিকিৎসার কথা বলেন, তারা বলেন এই রোগীর যে চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিল, সেই চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। যার কারনে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক।
এমতাবস্থায় তার ছেলে আসাদের সাথে কথা বললে, তিনি জানান আমার মায়ের অবস্থা আশংকাজনক, একবার আল্লাহর নাম তার কানে দেওয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেছে আমার মায়ের ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমি ডাক্তারের নামে মামলা করবো।
এবিষয়ে আজ সমতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার মোকাররম হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করেন, তিনি এবিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। এছাড়াও স্থানীয় কয়েকজন ডাক্তার মোকাররম হোসেনের ভুল চিকিৎসার কথা জানান। তারা বলেন এই ডাক্তার মোকাররম হোসেনের ভুল চিকিৎসার কারনে আমরাও ভুক্তভোগী। আমরা এর প্রতিকার চাই।