মাঠে জমি নেই অথচ ঝিনাইদহ কৃষি ব্যাংক থেকে জমির ভুয়া কাগজ বানিয়ে ঋন উত্তোলন করা হচ্ছে। সেই ঋন আবার হালনাগাদ করে ব্যাংক থেকে বেশি ঋন প্রদান করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রকৃত কৃষকরা ঋন নিতে গেলে পাচ্ছেন না। তাদের হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগে করেছেন, দালাল সিন্ডিকেটের তদবির ছাড়া ঋণ হয় না ঝিনাইদহ শাখার কৃষি ব্যাংকে। প্রতি লাখে দালাল ও ব্যাংকের আইও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ও গান্না ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করেন এহিয়া নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা। মাঠে এক শতক জমি না থাকলেও দালালের মাধ্যমে গান্না এলাকায় অন্তত ১০ জনকে ঋণ দিয়েছেন। কারও আবার হালনাগাদ করে ঋণের অংক বাড়িয়েছেন। কিন্তু বেতাই গ্রামের মৃত কাঠি মালিথার ছেলে নুরুল ইসলামের মাঠে ১৫ বিঘা কৃষি জমি থাকলেও তার ঋণের অংক বাড়েনি। উল্টো তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে রিকভার করা হয়েছে। জানাগেছে, এহিয়া তার নিয়োজিত দালালের মাধ্যমে ঋণ আদায় ও প্রদান করার ব্যবসা শুরু করেছেন। আগে কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া আছে এমন কারও জরুরী প্রয়োজন হলে টাকা ধার দেওয়া হয় কমিশনের মাধ্যমে। এদিকে জমি না থাকলেও জমির ভুয়া দলিল, পড়চা, দাখিলা বানিয়ে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে তদন্ত ছাড়াই। গান্না ইউনিয়নের চান্দেরপোল গ্রামের হারেজ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের ভিটা বাড়ি ও কবরস্থানের নামে মোট ৮৬ শতক জমি রয়েছে চান্দেরপোল মৌজায়। পোড়া বেতাই গ্রামের আইনুদ্দীনের ছেলে তারেকের নিজ নামে কোন জমি নেই। তার পিতা আইনুদ্দিনের নামে ৪০ শতক জমি রয়েছে পোড়াবেতাই মৌজায়। কিন্তু এই দুজনের এক শতক জমিও চাষ হয় না। অথচ তাদের দুই জন কৃষি ব্যাংক থেকে আড়াই ও দুই লাখ করে ঋণ পেয়েছেন। অথচ তারেকরা ৪ ভাই হওয়ায় ৪০ শতক জমির মাত্র ১০ শতক জমির ওয়ারেশ তিনি। এই বিষয়ে ব্যাংকের আইও এহিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা জমির কাগজ জমা দিয়েই ঋণ নিয়েছে। এখানে সরজমিনে তদন্ত করার কি আছে ? আপনি ম্যানেজারের সাথে কথা বলেন। অভিযোগ উঠেছে গান্না ইউনিয়নের বেতাই গ্রামের একজন দালাল আছে। তার মাধ্যমে গান্না এলাকায় প্রায় ১৫ জনকে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যাদের মাঠে চাষ নেই।