জন্মের পর থেকে মাকে দেখেনি শিশু সরল। চোখ থাকলেও গোটা পৃথিবী তার কাছে অন্ধকার। দুই ছোখে ছানি থাকায় মায়ের গর্ভ থেকেই অন্ধ হয়ে জন্ম গ্রহন করেছে। এখন এ ভাবেই সে দিন দিন বেড়ে উঠছে। ঝিনাইদহ শহরের পৌর এলাকার বকুলতলার সাধন কুমারের ছেলে শিশু স্বরল বিশ্বাস জন্মের পর থেকেই সে দেখতে পায়নি জন্ম দাতা পিতা মাতাকে। মায়ের মুখের শব্দ শুনে শুধু অপলক চোখে চেয়ে থাকে মায়ের মুখ দেখার জন্য। কিন্তু চোখে তার যে দৃষ্টি নেই সুন্দর এ পৃথিবী দেখার। শিশু সরলের মা তন্দ্রা বিশ্বাস জানান, জন্মের পর থেকেই ছেলের দু’চোখ অন্ধ। কিন্তু দেখে তা বোঝার কোন উপায় নেই। শিশুটির বয়স যখন ৩ মাস তখন বিষয়টি আমরা বুঝতে পারি। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তারা পরীক্ষা করে জানান সরলের দু’চোখই অন্ধ। শিশুটির চোখের চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনাসহ কয়েক জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও ফেরেনি শিশুটির দৃষ্টি। অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ফার্মগেট ইসলামী হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সাজর্ন ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমকে দেখানো হয়। তখন তিনি জানান শিশুটির দু’চোখ অপারেশন করলে ফিরে পাবে দৃষ্টিশক্তি। এতে অনেক টাকা ব্যায় হবে। কিন্তু অসহায় পরিবারটির পক্ষে আদৌও সম্ভব নয় টাকা যোগাড় করা। শিশুটির পিতা সাধন কুমার বিশ্বাস একজন ক্ষুদ্র দোকানদার। ছেলের চিকিৎসা ব্যায় তার পক্ষে করা সম্ভব নয়। ফলে তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা বিকাশ নাম্বার ০১৭৩৯-৩৭২১৪০ অথবা তন্দ্রা বিশ্বাস সঞ্চয় হিসাব নং ২৪০৭৫০১০৩৯৬৮৭ সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা।