ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা ৬০টি নমুনার মধ্যে ৪১টিতেই ভারতীয় ধরন বা ‘ডেলটা ভেরিয়েন্ট’ পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), যা মোট সংগৃহীত নমুনার ৬৮ শতাংশ। মে মাসের শেষ ও জুন মাসের প্রথম—এই দুই সপ্তাহে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আইসিডিডিআরবির মিডিয়া ম্যানেজার তারিফুল ইসলাম খান আজ বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা ৬০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে আইসিডিডিআরবি। এর মধ্যে ৬৮ শতাংশে ভারতীয় ধরন বা ডেলটা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ২২ শতাংশ নমুনায় পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন বা বিটা ভেরিয়েন্ট। বাকি নমুনাগুলো অন্যান্য ভেরিয়েন্টের।
করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের কারণেই ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বহু গুণে বেড়েছে। এই ভারতীয় ধরনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে বর্ণনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর আগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে করোনার ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে তার মধ্যে ৪০টি ভারতীয় ভেরিয়েন্ট (ধরন) পাওয়া গিয়েছিল। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) করোনাভাইরাসের ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে।
৩ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেলটা ভেরিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণের (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দেশে গত ৮ মে প্রথম ভারতীয় ধরন বা ডেলটা ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়। গত মাসের মাঝামাঝিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি জেলায় রোগী দ্রুত বাড়তে শুরু করে। গত কিছুদিন ধরে সারা দেশেই রোগী বাড়তে শুরু করেছে।