আসছে মৌসুমের জন্য তারুণ্যনির্ভর দল গড়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। গত মৌসুমে খেলা মাত্র ছয়জনকে ধরে রেখে একদমই নতুন দলে পরিণত হয়েছে ক্লাবটি। এদের নিয়েই তিনটি টুর্নামেন্টে ভালো কিছুর প্রত্যাশা ক্লাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। মঙ্গলবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ক্লাব প্রাঙ্গণে খেলোয়াড়দের পরিচয় করে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল, ক্লাবের ভাইস চেয়ারম্যান ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন ছাড়াও অন্যরা। এই মৌসুমের জন্য ৬ জন বিদেশিসহ ৩১ জন ফুটবলারকে নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় দলে খেলা গোলরক্ষক মিতুল মারমা ও স্ট্রাইকার সুমন রেজা এবং জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ইমন মাহমুদ রয়েছেন। এ ছাড়া আছেন শওকত রাসেল, তানভীর হোসেন, আরিফুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, নিহাত জামান, সারওয়ার জামান, দীপক রায়, সুজন বিশ্বাসের মতো পারফর্মাররা। যাদের অনেকেই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট এবং লিগে গত মৌসুমে আশাজাগানিয়া পারফরম করেছেন। এদের নিয়েই দারুণ কিছুর আশা দেখছেন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল,’যারা দলে আছে তাঁরা সবাই তরুণ। সবার মধ্যেই প্রাণ শক্তি ও ইচ্ছে শক্তি আছে। আমি আশা করছি, এই দল চ্যাম্পিয়ন ফাইট দিতে পারবে। এর জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা ক্লাবের পক্ষ থেকে সেটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমরা এই ক্লাবকে ভালো পর্যায়ে দেখতে চাই।’ এ ছাড়া বিদেশি কোটায় আছেন হাইতির অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেলা সেন্টার ফরোয়ার্ড ফ্র্যান্টজেটি হেরার্ড। কিরগিজস্তান প্রিমিয়ার লিগে খেলা উজবেকিস্তানের আব্দুলখাকভ আব্দুররাখমন ও বুরুন্ডির সেলেমানি ল্যান্ড্রি। সবশেষ মুক্তিযোদ্ধায় খেলেছেন ল্যান্ড্রি। মিডফিল্ডে নেওয়া হয়েছে জাপানের কোডাই লিডাকে। রক্ষণে নেওয়া হয়েছে উজবেক মালিকভ আলমাকবেক ও নাইজেরিয়ার গানিউ আতান্ডাকে। গত ১ অক্টোবর থেকে নর্থ মেসোডিনিয়ান কোচ ইয়োস্লাভ ত্রেনচোভস্কির অধীনে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি শুরু করেছে শেখ রাসেল। প্রথমবার বাংলাদেশে এসে রোমাঞ্চিত এই কোচ। তবে এখনই দলকে নিয়ে বড় লক্ষ্যে কথা শোনাননি তিনি,’সত্যি বলতে, এখনো কোনো লক্ষ্য ঠিক করিনি। আমি কোনো জাদুকর নই যে, এসেই সাফল্য এনে দেব। ধীরে ধীরে এগোতে চাই। দলের সবাইকে ভালোভাবে দেখতে হবে। আমি প্রায় ২০ দিন হলো এখানে এসেছি, ক্লাব থেকে সবধরণের সুবিধা পাঁচ্ছি। অনুশীলনে সবকিছু বুঝতে পারা কঠিন। ২৭ তারিখ থেকে স্বাধীনতা কাপ শুরু। প্রথম ম্যাচের পর বুঝতে পারব এই দল নিয়ে কতদূর যেতে পারব।’
শেখ রাসেল দল:
গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, রাকিবুল হাসান, নাঈম মিয়া, মেহেদি হাসান।
রক্ষণভাগ: গানিউ আতান্ডা, মালিকভ আলমাকবেক, শওকত রাসেল, তানভির হাসান, আরিফুর ইসলাম, সাগর মিয়া, আপন সরকার, মনির আলম, শাহীন আহমেদ, আবিদ আহমেদ ও জিন্টু।
মধ্যমাঠ: চন্দন রায়, ইমন মাহমুদ, কোডাই লিডা, মুন্না, শহিদুল আলম, নিহাত জামান, ইকবাল হোসাইন, সারওয়ার জামান, আবু বকর ও মাহমুদুল হাসান।
আক্রমণভাগ: দীপক রায়, ফ্র্যান্টজেটি হেরার্ড, আব্দুলখাকভ আব্দুররাখমন, সেলেমানি ল্যান্ড্রি, সুজন বিশ্বাস ও সুমন রেজা।