ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ধসে পড়েছে। কাজ শেষ হবার আগেই তা ধসে পড়েছে। কাজটি অত্যান্ত নিম্নমানের হওয়ার করনে এভাবে ধসে পড়েছে। নির্মাণ কাজে সিলেকশন বালির পরিবর্তে নিম্ন মানের বালি ও পুরাতন রড ব্যবহার করে কাজ করছে। সোমবার সকালে প্রাচীরটি ভেঙ্গে পড়ে গেছে। নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই প্রায় ৫০ ফুট সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। বর্তমানে ওয়ালটি নিয়ে মারাত্নক ভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে। এলাকাবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আশংকা করছে অবশিষ্ট প্রাচীর কখন যে ভেঙ্গে পড়ে এমন শংকা বিরাজ করছে। অনিয়মতান্ত্রিক নিম্নমানের কাজ করার কারণে এমনি হয়েছে কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বলছেন কে বা কারা দুষ্টুমি করে এভাবে ভেঙ্গে ফেলেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি অফিস জানান, চলতি অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচীর (পিইডিপি-৪) আওতায় উপজেলার ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটসহ বাউন্ডারি দেওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৯ হাজার ২৯১ টাকা। এদিকে উপজেলার ত্রিলোচনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাউন্ডারি প্রাচীর ধ্বসে পড়েছে। প্রাচীর নির্মাণে নিম্নমানের বালি ও পরিমাণ মতো সিমেন্ট না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। কালীগঞ্জে ১৩ বিদ্যালয়ের কাজ সর্বক্ষেতেই নিম্নমানের হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে পুরাতন রড় দিয়ে ঢালায়োর কাজ করছে ও যে পরিমান রড দেওয়ার কথা সেটা দিচ্ছে না। ঠিকাদাররা নিজেদের ইচ্ছামত কাজ করছে। কিছু বললে তাদের উপরে দলীয় প্রভাব প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার সকালে ঝিনাইদহ এলজিইডি অফিসের উপণ্ডসহকারী প্রকৌশলী আল-আমিন বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কাজ তদারকি করতে ত্রিলোচনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। তিনি কাজের মান অত্যান্ত খারাপ বলে শিকার করেন। ত্রিলোচনপুর গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, প্রাচীর নির্মাণে নিম্নমানের বালির ব্যবহার করা হয়েছে। এখনো কাজ শেষ হয়নি তার আগেই প্রাচীর ধ্বসে পড়েছে। স্কুলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। নিন্মমানের এই প্রাচীর ধ্বসে যেকোন সময় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। অনেক অভিভাবক বলছেন এত নিম্নমানের কাজ হলে তাদের ছেলে মেয়ে বিদ্যালয়ে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বাচ্চাদের প্রানহানীর ঘটনা ঘটতে পারে। এসনিয়ে তদন্ত পূর্বক শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচত বলে সচেতন অভিভাবক মনে করেন। বিশেষ করে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার আবুল কালাম আজাদ ও কাজ তদারকি ব্যাক্তির কমিশন বানিজ্যের কারণে এমন নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। এসব অফিসারদের সাথে ঠিকাদারদের কমিশন বানিজ্যের কারণে এত নিম্নমানের কাজ হয়ে থাকে। এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রাচীর ধ্বসে পড়া ত্রিলোচনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানান।