ঝিনাইদহে কৃষকের কষ্টে অর্জিত ফসল বাজারে বিক্রি করতে গেলে ওজনে বেশি নেওয়ায় হয়রানী হতে হয় কৃষকদের। এই বিষয়ে গত ১৭ মে উপজেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন কৃষকরা। এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকা সহ অনলাইন প্রত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি প্রশাসন। এই বিষয়ে গত ২৯ মে ঝিনাইদহ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গোলাম মারুফ খান কে জানালে তিনি বলেন আমরা আইন দিবো তবে আইন প্রয়োগ করার অধিকার আমার নেই। তবে আইন প্রয়োগ করবে কে?? কৃষক সাধারণ মানুষ বলে কি তারা আইন থেকে বঞ্চিত?? কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি নং- কৃবিঅ/বানি- – ০৭(ক)/২০০৫/৪৪-১৯৮৫ সনের ১৯নং অধ্যাদেশ বলে সংশোধিত বাংলাদেশ কৃষিপণ্য বাজার নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৬৪ এর ১২(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পরিচালক; কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, জেলা বাজার উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশক্রমে এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের সকল নিয়ন্ত্রিত বাজারের জন্য তফসিলভুক্ত কৃষিপণ্য.ক্রয় ও বিক্রয়ের বেলায় ক্রেতার নিকট হইতে বিভিন্ন বাজারকারবারীগণ কতৃক সকল আদায়যোগ্য সর্বচ্চো মার্কেট চার্জ সকল কৃষি পণ্যের উপর নিধারণ করে দিলেও মানা হচ্ছে না বলে জানান কৃষকরা। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারি বাজার মার্কেটিং এর দায়িত্বে থাকলেও তারা চুপ করে আছে। ঝিনাইদহের ধানও ভুষি মালের হাট, তেতুল তলা ধানের বাজার, বিষযখালী বাজর সহ অন্যান্ন বাজারে কৃষকরা ধান সহ অন্যান্ন খাদ্যশস্য বিক্রি করতে গেলে এই হয়রানীর শিকার হতে হয়।সাধারণ কৃষকগণ বলেন যারা বাজার মার্কেটিং এর দায়িত্বে আছে তারা ধানের বাজারে তদারকি করলে হয়তো আমরা এই শিকার থেকে রেহায় পাবো।