প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রাসেলস সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিন ঘুরে আসার পর তিনি ব্রাসেলস যাচ্ছেন। চারদিকে ঘোরাঘুরি শুরু হয়েছে। দল বেঁধে বিভিন্ন দেশ সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তাদের সময় শেষ হয়ে গেছে। ঘোরাঘুরি করে কোনো লাভ হবে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের কনভেনশনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সব মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আপনাদের হাত থেকে তারা বাঁচতে চায়। পূজায় দুই-চারটা দিন ছুটি থাকবে। এ সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় প্রতারক দল। গত দুটি নির্বাচনও নাকি সুষ্ঠু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলকে তারা বলেছে আস্থা রাখুন। তাদের ওপর আস্থা রাখার অর্থ হচ্ছে শিয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়া। এমনটি আর হবে না।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীকে গ্রেপ্তার-নির্যাতন প্রসঙ্গে ছাত্রদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, এখান থেকে একটা বার্তা পাবেন। সেই বার্তা হচ্ছে, মুখ বুজে বসে থাকবেন না। বাঁচতে চাইলে জেগে উঠতে হবে।
এতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সামনে আছে দুই মাস। কে জিতবে আর কে হারবে তা এই দুই মাসের মধ্যে ফয়সালা হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্র একটা গোষ্ঠীর দখলে চলে গেছে। এই সরকারকে নামাতে না পারলে রাষ্ট্র সামগ্রিক হুমকির মুখে পড়বে।
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, কাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মিছিল ও সমাবেশ করতে হবে। ছাত্রলীগ হামলা করতে পারে। প্রয়োজনে প্রতিরোধ করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ ১৫টি ছাত্র সংগঠন নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের আত্মপ্রকাশ হয়। এই কনভেনশনকে কেন্দ্র করে দুপুর ১২টার আগে থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার প্রতিনিধি এবং নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আসেন। কনভেনশনে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়কারী ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে কনভেনশনে ছাত্র ঐক্যের শরিক সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, গণফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ।