এজবাস্টন টেস্ট চালকের আসনে যে নিউজিল্যান্ড ছিল, সেটা দ্বিতীয় দিন শেষেই বোঝা গিয়েছিল। তৃতীয় দিন শেষে কথাটা যেন আরও বেশি করে সত্যি হয়েছে।
পার্থক্য শুধু একটাই – ভাবা হচ্ছিল, নিউজিল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাবেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু সেটা হয়নি, কিউইদের জয়ের সুবার উলটো পাইয়ে দিচ্ছেন বোলাররা। বিশেষ করে বললে পেসাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ৩৭ রানে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। হাতে আছে আর মাত্র একটা উইকেট। ৯ উইকেটে ১২২ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড করেছিল ৩০৩ রান, নিউজিল্যান্ড ৩৮৮।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৭৬.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। ক্রিজে ছিলেন রস টেলর, ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল, ড্যারিল মিচেলদের দিয়ে দলকে রানপাহাড়ে তুলবেন টেলর, ইংল্যান্ডের সামনে দেবেন অনতিক্রমণীয় লক্ষ্য, এমনটাই আশা করা হচ্ছিল।
টেলর রান পেলেও নিউজিল্যান্ডের চাওয়া পূরণ হয়নি। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৩০৩ রানের জবাবে ৩৮৮ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এক রস টেলরই যা একটু প্রতিরোধ গড়েছেন, ১৩৯ বল খেলে করেছেন ৮০ রান। নিকোলস-ব্লান্ডেলরা অল্পবিস্তর রান করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারনেনি। চার উইকেট নিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। দুটি করে উইকেট জুটেছে মার্ক উড আর ওলি স্টোনের কপালে।
নিউজিল্যান্ডের চেয়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৫ রানের লিড, ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা তখন বড় রান করার আশায়। কিন্তু সে ভাবনায় পানি ঢালতে কিউই পেসাররা বেশীক্ষণ সময় নেননি। নিল ওয়াগনার, ম্যাট হেনরি আর ট্রেন্ট বোল্টের তোপে ১২২ রান তুলতে না তুলতেই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নয় উইকেট হারিয়ে বসেছে নিউজিল্যান্ড।
স্পিনায় আয়াজ প্যাটেলও নিয়েছেন দুই উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ ছাড়ানো স্কোর করেছেন শুধু ওলি পোপ আর মার্ক উড। বাকীদের অবস্থা যাচ্ছেতাই। ক্রিজে আছেন শেষ ব্যাটসম্যান জেমস অ্যান্ডারসন আর ওলি স্টোন।
আগামীকাল যত তাড়তাড়ি সম্ভব এই জুটি ভেঙ্গে ব্যাট করতে নেমে প্রয়োজনীয় রান তুলে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারাই লক্ষ্য কিউইদের।