পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংকের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। ব্যাংকটির নতুন নাম হবে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। মঙ্গলবার অক্টোবর থেকে ব্যাংকটির নতুন নাম কার্যকর হবে। ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডিএসই জানায়, ব্র্যাক ব্যাংকের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে দেওয়া প্রস্তাব ডিএসই থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ব্যাংকটির নতুন নাম ‘ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি’ কার্যকর হবে। নাম বাদে ব্যাংকটির অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে। এদিকে, সম্প্রতি কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফ হয়েছে ১ টাকা ৯৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ১ টাকা ৩৭ পয়সা। মুনাফার পাশাপাশি সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৯২ পয়সা। ২০২২ সালের জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৩৫ টাকা ৮৩ পয়সা। ২০০৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬০৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ২২৭টি। এর মধ্যে ৪৬ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্ত ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ৩০ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার আছে। কোম্পানিটির লভ্যাংশের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ এবং সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২১ সালেও সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৯ সালে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৮ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৭ সালে ২৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। অর্থাৎ ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে।