নির্ধারিত গাড়ি ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে যাত্রীকে মাথা ফাটিয়ে দিলেন কালুরঘাট থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত যাতায়াতরত ১নং রুটের বাসের জনৈক বাসের হেলপার। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ঘটনার দুই দিন পর গতকাল সোমবার যাত্রী ও বাসের হেলপারের মধ্যে একটা সমঝোতাও হয়েছে বলে প্রশাসনিক ভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার (১২ জুন) দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাট মোড় এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে চান্দঁগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তবে হেলপারের দেয়া আঘাতে যাত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় উভয়ের মধ্যে আপোস-মীমাংসাও হয়ে গেছে বলে শুনেছি।
তবে বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের দায়িত্বরত এসআই অধীর চৌধুরী এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি। তাছাড়া এই রুটের শ্রমিক নেতা আমজাদ হাজারিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, আনুমানিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ভাড়া সাধারণ সময়ে ভাড়া ৫ টাকা। কিন্তু গাড়ির হেলপার ১০ টাকা দাবি করেন। তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় যাত্রীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেন হেলপার। এটা নিয়ে রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এ ঘটনার একটি ভিডিও। এতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি গাড়ির দরজায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। তার মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে। গাড়ির যাত্রীরা হেলপারকে ধরার চেষ্টা করছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা এস মাহাদি নামের একজন ব্যক্তি বলেন, লোকটি কাছাকাছি দূরত্বেই নেমে গিয়েছিলেন। ৫ টাকা ভাড়া দেওয়ার পর গাড়ির হেলপার তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরে লোকটি গাড়ি থেকে নেমে যাওয়া সময় হেলপার দৌড়ে গিয়ে গাড়ি পরিষ্কার করার ব্রাশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে।
এই রুটে যাতায়াতকারী একাধিক যাত্রী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই এই রুটে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনার দিনও গাড়িতে যাত্রীর সংখ্যা বেশি ছিল। প্রতি সিটে দুইজন করে বসেছে। আবার দাঁড়িয়েও ছিলেন অনেকে। তারপরও তারা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছিল। সাধারণত ভাড়া ৫ টাকা হলেও সরকারের ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধিতে ৮ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু এই রুটের প্রতিটি গাড়িতেই দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।