মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরিশাট গ্রামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে । এবিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, গাংনালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও বরিশাট গ্রামের বাসিন্দা মোটরবাইক চালক মেহেদী হাসান সুইট এর কন্যা ২১ জুন সোমবার দুপুরে তাদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল।বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় সেই সুযোগে একই গ্রামের ইমাম মুন্সীর লম্পট পুত্র বৈশাখ মুন্সী(২০) দুপুর ৩টার দিকে তার ঘরে ঢুকে মেয়েটি ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে প্রেম নিবেদনের চেষ্টা চালায়।কিন্ত প্রেম নিবেদনে মেয়েটি অসম্মতি প্রকাশ করলে উক্ত লম্পট যুবক মেয়েটির উপর ক্ষীপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এসময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসামাত্রই লম্পট যুবক পালায়ে যেতে সক্ষম হয়। এবিষয়ে মেয়েটির মা মেঘলা আক্তার জানান, তার ছোট ছেলের জন্য স্কুলের এ্যাসাইন্ট আনতে একই গ্রামের রইচ মুন্সীর বাড়িতে যায়। তখন তার মেয়ে বাড়িতে একাই ঘুমিয়ে ছিলো । আর সেই সুযোগে ইমাম মুন্সীর লম্পট পুত্র বৈশাখ মুন্সী(২০)তার বাড়িতে অনুপ্রবেশ করে তার মেয়েকে শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছে। এঘটনায় মেয়েটির পিতা ওইরাতেই বৈশাখ মুন্সীর নামে শ্রীপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেছে । এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামী বৈশাখ মুন্সীর চাচা হাবিব মুন্সী জানায়, আমার ভাতিজার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার ভাতিজা মেঘলা আক্তার নামের মেয়েটিকে ভালবাসতো আর সেজন্য সেদিন মেয়েটিকে ফুল দিয়ে ভালবাসার কথা বলতে মেয়েটির বাড়ি গিয়েছিল । এছাড়া অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। শ্রীপুর থানা অফিসার্স ইনচার্জ সুকদেব রায় মাগুরা সংবাদকে জানান, ওই রাতে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলাও হয়েছে।মামলা নং ১২ ।