মুরগি চুরি করতে গেলেও সঙ্গে থাকে আট পিস্তল। রয়েছে নারীদের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক। ছাত্রলীগ নেতার এমনই একটি অডিও ফাঁস হয়েছে ফেসবুকে। মাদারীপুরের শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাহান ও এক নারীর মোবাইল ফোনে কথোপকথন ফাঁস হয়, যা মুহর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। শাহজাহান খান শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হালেম খানের ছেলে।
অডিওতে শোনা যায়, ছাত্রলীগ নেতা এক নারীকে বলছেন, আমি মুরগি চুরি করতে গেলেও সঙ্গে আট পিস্তল নিয়ে যাই।
ওই নারীর উদ্দেশে ছাত্রলীগের নেতা বলেন, আপনি আমার কথা রেকর্ডিং করেন। রেকর্ডিং করেন। তাতে কিছুই হবে না। এর উত্তরে ওই নারী বলেন, আপনি কষ্ট করে ছাত্রলীগ নেতা হয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা হয়ে অনেক মেয়েদের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন। পরে ছাত্রলীগ নেতা ওই নারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন।
এর পর আরেক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের আরেকটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটে। দুই নারীর সঙ্গে প্রায় ৮ মিনিটের আলাপচারিতা ভাইরাল হওয়ায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অপর অডিওতে শোনা যায়, এক নারীর সঙ্গে সম্প্রতি প্রেমের বিচ্ছেদ হয়। পরে একাধিকবার কল দিয়ে সে মেয়েটিকে কান্নার সুরে মিনতি করে ক্ষমা চান। আবারও পুনরায় প্রেম করতে চান অভিযুক্ত শাহজাহান খান।
এক নারী বলেন, ছাত্রলীগের আড়ালে শাহজাহান খান কুকর্ম করে বেড়ায়। শাহজাহান বলে বেড়ান— আমি একশ মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করব, তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। ওর বিচার হওয়া উচিত। তা না হলে আরও অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করবে শাহজাহান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান খান বলেন, ফাঁস হওয়া কথোপকথন আমার নয়। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন এডিট করে নেটে ছেড়ে দিয়েছে। এতটুকু বলতে পারি— আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বায়েজিত হাওলাদার বলেন, এমন অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগের কানে আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্ত করে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।