ঝিনাইদহে ট্রাফিক পুলিশ করোনাকালীন সময়ে রেকর্ড পরিমাণ জরিমানা আদায় করেছে। জেলার বিভিন্ন সড়কে বেআইনিভাবে চলাচলকারী মোটরযান থেকে এসব জরিমানা আদায় করা হয়। গত জুলাই মাসের ৩১ দিনে ১৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা আদায় করে ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় অবৈধ মটরযানের বিরুদ্ধে ৪৭৪টি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে ৩৮৮ মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। যেখান থেকে এই বড় অংকের টাকা আয় করা হয়েছে। এর আগে জুন মাসে জেলায় ৬১০ টি মামলায় হয়। এ নিয়ে মোট প্রায় ২৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় হয়। এর আগে এত বেশি টাকা জরিমানা থেকে আয় হয়নি। শেষ দুই মাস জুড়েই জেলায় চলছে বিশেষ বিধি নিষেধ ও লকডাউন। ভারতীয় সীমান্তবর্তি জেলা হওয়ায় জুন মাসে বেশিরভাগ সময় চলাচলে বিশেষ বিধিনিষেধ ও লকডাউন ঘোষনা করে জেলা প্রশাসন। এছাড়া গেল জুলাই মাস জুড়েই চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। এসময়ে মানুষকে ঘরে রাখতে কঠোর অবস্থান নেয় জেলা প্রশাসন। এরই আওতায় নিয়মিত চেকপোষ্ট বসিয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের একাধিক টিম চলাচলকারী অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। ফলে এ দুই মাসে রেকর্ড পরিমাণ জরিমানা ও মামলা দায়ের হয়। শহর ঘুরে দেখা গেছে দ্বিতীয় মেয়াদে লকডাউনে জেলা শহরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। সকাল থেকেই শহরের আরাপপুর, পোস্ট অফিস মোড়, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়। শহরে চলাচলকারীদের তথ্য যাচাই করে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া মোটরযান বের হলেই জরিমানা ও মামলা দিতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ট্রাফিট ইন্সপেক্টর সালাহউদ্দিন মঙ্গলবার বলেন, জেলার ছয় উপজেলায় করোনাকালীন প্রতিদিনই অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে চেকপোষ্ট বসানো হচ্ছে। নিয়মিত জরিমানা ও মামলা করা হচ্ছে কিন্তু মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না। জেলা ট্রাফিক পুলিশের এ অভিযান নিয়মিত চলবে। গত জুন ও জুলাই মাসে সবথেকে বেশি মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে যোগ করেন জেলার এই শীর্ষ ট্রাফিক পুলিশের এ কর্মকর্তা।