আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শালিখার কামার পল্লীতে কর্মব্যস্ততা থাকার কথা থাকলেও নেই তেমন কোন কর্মচাঞ্চল্যতা। মহামারী করোনার প্রভাব যেন থামিয়ে দিয়েছে কর্মকারদের ঢুং ঢাং শব্দ। আজ বুধবার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া, বাউলিয়া, ভাটোয়াল, বুনাগাতি, বরইচারা সহ বিভিন্ন কামার পল্লীতে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। কোরবানী করার জন্য চাপাতি, ছুরি, কাটারী নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে না গত বছরের পুরাতন সরঞ্জাম মেরামত করে নিচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। এব্যাপারে আড়পাড়া খালপাড়ের কর্মকার সঞ্জয় বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি জাছনান, কোরবানীর কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামের চেয়ে পাট কাটার কাস্তে, ঘর নির্মাণের পেরেক তৈরির ওয়ার্ডার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও দিলীপ, খোগেন, উত্তম কুমার সহ একাধিক কর্মকারের সাথে কথা বললে তারা জানান, করোনার প্রভাবে ঠিকমতো ঘর খুলতে না পারায় তেমন কোন অর্ডার পাইনি এবং যা দু-একটা পাচ্ছি তাতে শুধু ধার কাটিয়ে দিচ্ছি। অপরদিকে প্রতি বছর কোরবানি দেয় এমন কয়েকজন লোকের সাথে কথা বললে তারা জানান, কোরবানীর জন্য পশু ক্রয়ের হাট তেমন পায়নি তাই নিজ গৃহে পালিত পশু দিয়েই কোরবানি দিচ্ছি এবং বাড়িতে থাকা চাপাতি-ছুরি ব্যবহার করছেন তারা