ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাল বিএড সার্টিফিকেট দিয়ে এক যুগেরও বেশী সময় ধরে চাকরী করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষিকার শারমিন আক্তার। অভিযোগ উঠেছে এক যুগেরও বেশী সময় ধরে তিনি শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত। অথচ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা অফিস জেনেও কোন তদন্ত বা সার্টিফিকেট যাচাই বাছাই করার উদ্যোগ গ্রহন করেনি। ফলে এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের একাধিক শিক্ষক বলেছেন শারমিন আক্তার কোন দিন বিএড ভর্তি বা পরীক্ষা দেননি। এ অবস্থায় তিনি কিভাবে সার্টিফিকেট পেলেন ? সনদ যাচাই করলে বিষয়টি ধরা পড়বে বলে অনেকে মনে করেন। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এমন কিছু করলে তা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বরৈ তিনি জানান। শৈলকুপা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ইকু বলেন, সার্টিফিকেট জালের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এমন কিছু হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তানিয়ার সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যাইনি । উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহাম্মেদ খান বলেন,ওজাল সনদ নিয়ে চাকরী করা ঠিক না । কর্র্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করে জাল প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।