ফুটবল খেলার জের নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলায় জখম হয়েছেন রমজান মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। তাকে নির্মম ও নির্দয় ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে, ফুটবল খেলা নিয়ে রমজানের ছেলের সঙ্গে বিবাদ হয় নয়ন ও হৃদয় নামে দুই যুবকের। আছারত মন্ডলের ছেলে রমজান আলী মন্ডল শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তিনি স্থানীয় ভাবে আওয়ামলীগের ফারুকুজ্জামান ফরিদ গ্রæপের সদস্য বলে জানা গেছে। এই হামলার জন্য ফরিদ গ্রæপ মাসুম চেয়ারম্যানের গ্রæপকে দায়ী করে তারাও সুতলিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাফিজকে মারধর করে। দুইজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিবাদমান দুই গ্রæপের আহতদের জরুরী বিভাগে আনা হলে হাসপাতালে উভয় গ্রæপের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মারমুখি আচরণে লিপ্ত হয় বলে চিকিৎসক ও কর্তব্যরত নার্সরা জানান। পরিস্থিতি বেগতিক ও রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসক রমজান আলীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। বিষয়টি নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ জানান, হরিশংকরপুর গ্রামে ডাবল মার্ডারের পর তার গ্রæপ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মামলা হামলায় জর্জরিত। লোকজন বাড়ি থাকতে পারে না। ফরিদ জানান, শনিবার পোড়াহাটী ইউনিয়ন পরিষদে ২২ গ্রামের লোকজন নিয়ে একটি শান্তি সভা ডাকা হয়। সেখান থেকে রমজান মন্ডল বাড়ি ফিরছিলেন। তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, এটা কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক বিরোধ নয়। নিতন্তই ব্যক্তিগত। ফুটবল খেলার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তার সহকারী হাফিজ খুব নিরীহ মানুষ। তাকেও মারধর করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।