ঝিনাইদহে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে ফসলের খেতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পাকা আমন ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক,করছে হাহাকার। পাশাপাশি মাঠে কেটে রাখা পাকা ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে আবার কোথায়ও ভেসে আছে। পানি জমেছে সরিষা পেয়াজ ও গমের খেতেও। কৃষকেরা জানান, এতে তাদের অনেক লোকশান হবে।
ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর মোট আমন আবাদ হয়েছে ১লাখ ৪৬ হাজার ১২ হেক্টর,সরিষা ৯হাজার ১৭১ হেক্টর,পেঁয়াজ ৭৬১ হেক্টর,গম ৪ হাজার ৩৫৪ হেক্টর,ভুট্টা১০ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত আমন ধানের প্রায় ২০ ভাগ এখনো জমিতে রয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, জাওয়াদের প্রভাবে তীব্র বৃষ্টিতে মাঠের পাকা আমন ধান ডুবে আছে। আর মাঠে কেটে রাখা ধান পানিতে ভাসছে। একই অবস্থা সরিষা, গম, শাক-সবজীর খেত। কৃষকেরা অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজে ফসলি জমির আইল কেটে পানি নিষ্কাশনের জন্য চেষ্টা করছেন।
সদর উপজেলার রতনহাট গ্রামের কৃষক তফছেল আলী জানান, এই বৃষ্টিতে সরিষা খেতে পানি জমে গেছে, কোদাল দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে পানি বের করার ব্যবস্থা করেছি কিন্তু পানি বের হলেও সরিষা গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই গ্রামের কৃষক আবু জাফর জানান আমার ৩ বিঘা ধান ছিলো এখনও এক বিঘা ধান বাড়িতে এনেছি বাকি সব ধান পানির তলে এবং কাটা ধান পানিতে ভাসছে।
এছাড়াও অত্র এলাকার কৃষকেরা জানান আমাদের রতনহাট, লাউদিয়া, চুটলিয়া, আড়পাড়া গ্রামের মাঝে অবস্থিত চাত্রাবিলের পানি দ্রুত নিষ্কাশের জন্য চাত্রাবিল থেকে নৈহাটি বাওড়ের সাথে খাল খনন করার অনুরোধ করেন। পূর্বে খাল খননের জন্য লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা হয় নি বলে জানান কৃষকরা।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজগর আলী জানান, এ পানি ৪ থেকে ৫দিন থাকলে লোকসানের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। আমরা চেষ্টা করছি কি পরিমাণ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা বের করার।