ঝিনাইদহ শহরে এই প্রথম স্বাস্থ্যসম্মত গরুর গোস্তের দোকান চালু করা হয়েছে। মোস্তাক আহম্মেদ নামে এক রুচিশীল গোস্ত বিক্রেতা সম্প্রতি এই দোকান চালু করেন। শহরের নতুন হাটখোলায় শিকে (হুক) ঝুলিয়ে এই গোস্ত বিক্রি করা হচ্ছে। নতুন আঙ্গিকে চালু হওয়া এই দোকানে মানুষ ভিড় করছে। ক্রেতারা জানান, আগে সিন্ডিকেট করে গোস্ত বিক্রি করা হতো। গোস্ত বিক্রেতাদের কাছে ঝিনাইদহের জনগণ ছিলো জিমি। কেজিতে কমপক্ষে ২০০ গ্রাম উচ্ছিষ্ট কিনতে হতো যা খাওয়ার অনুউপযোগী। মোস্তাক আহম্মেদের এই দোকানে ক্রেতারা ইচ্ছামতো গোস্ত কিনতে পারবেন। আনোয়ার হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি দুই কেটি রানের গোস্ত চেয়েছিলেন। বিক্রেতা মোস্তাক তাকে চর্বি বাদেই চাহিদা পুরণ করেছেন। একই কথা জানালেন জাহিদুল ইসলাম। মোস্তাক জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন আমি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এখন থেকে ঢাকার মতো হুকে ঝুলিয়ে দেশি গরুর গোস্ত বিক্রি করতে পারছি। ফলে এই পদ্ধতিতে গোস্ত বিক্রি করলে ক্রেতাদের প্রতারিত হবার কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, গরুর যে কোন অংশ ক্রেতারা ইচ্ছামত কিনতে পারছেন। মোস্তাক অভিযোগ করেন, গোস্তের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এ উদ্যোগে খুশি হতে পারেননি। সংঘবদ্ধ চক্রটি চক্রান্ত করছে যাতে এই পদ্ধতি উঠে যায়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর কুমার নন্দি বলেন, ক্রেতারা লাভবান হলেই আমরা খুশি। যাতে স্বস্থ্যসম্মত মান বজায় থাকে সে চেষ্টা করলে পৌরসভার কোন আপত্তি নেই।