মাথায় কাপড় ছাড়া ছবি তুলে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন তিনি। ভারতের কর্তারপুরে অবস্থিত শিখ সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান গুরুদুয়ারা দরবার সাহিবে খালি মাথায় ছবি তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। এরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন পাকিস্তানি মডেল সুলেহা।
ঘটনার জেরে পরিস্থিতি শান্ত করতে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
জানা গেছে, সুলেহা পাকিস্তানে ‘মান্নাত’ নামের একটি অনলাইন ক্লোদিং স্টোর পরিচালনা করেন। সম্প্রতি তিনি গুরুদুয়ারা দরবার সাহিব কমপ্লেক্সে- এ যান ফটোশুট করতে।
তার পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, সুলেহা গুরুদুয়ারার দিকে পেছনে ফিরে পোজ দিচ্ছেন। এসময় তার মাথা
ছিলো অনাবৃত। তার এই ভিডিও শুটের ছবি এবং আরো কিছু ছবি ওই স্টোরের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে।
‘মান্নাত ক্লোথিং’ নামের একটি পোশাকের ব্র্যান্ড সোমবার ইনস্টাগ্রামে তাদের পেইজে সুলেহার ফটোশুটে তোলা ছবি পোস্ট করে। এসব ছবি কর্তারপুর সাহিবে শুট করা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নজরে পড়ে শিরোমনি আকালি দলের মুখপাত্র মানজিন্দর সিং সিরসা ও অন্যদের। তারা দেখতে পান, দরবার সাহিবে ছবি শুটিং করার সময় ওই মডেলের মাথা ছিল অনাবৃত। গুরুদুয়ারা দরবার সাহিবে মাথায় কাপড় রাখা বাধ্যতামূলক।
এ নিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ফলে ইনস্টাগ্রামে ক্ষমা চেয়েছেন মডেল সুলেহা। তিনি বলেছেন, কাউকে আঘাত দিতে এসব ছবি তোলেননি। কর্তারপুর সাহিব সফরে গিয়েছিলেন বলে ছবি তুলে স্মৃতি করে রেখেছেন। তার পরও যদি কেউ মনে করেন কাউকে আহত করা হয়েছে তাহলে তিনি দুঃখিত।
পোশাকের ওই ব্র্যান্ড এবং মডেল সুলেহা উভয় পক্ষই দাবি করেছেন ওই ছবি কোনো ফটোশুটের নয়। তবু সুলেহা বলেছেন, তিনি শিখদের সংস্কৃতিকে সম্মান জানান। ভবিষ্যতে বিষয়টি মনে রাখবেন এবং দায়িত্বশীল হবেন।
এদিকে শিখ মুখপাত্র সিরসার টুইটের পর এ ঘটনায় তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ। তারা বলেছে, এই ফটোশুটের আদ্যোপান্ত সব জানার জন্য তদন্ত করছে তারা। এ জন্য কাউকে দায়ী পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিখ সম্প্রদায়ের কাছে অবশ্যই ওই ডিজাইনার এবং মডেলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, কর্তারপুর সাহিব একটি ধর্মীয় স্থান। সেটা ছবি ধারণের স্থান নয়। সূত্র : জাগো নিউজ২৪।