বিয়ের প্রলোভনে এক গার্মেন্টস কর্মীর সাথে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে একের পর এক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও বিয়ের কথা বলে বাড়িতে এনে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার কেঁড়ে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সুমন হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় ৫ জনকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার (২৯)। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার শিংপাড়া গ্রামের তফিকুল ইসলামের মেয়ে।
অভিযুক্ত (১) মো. সুমন হোসেন (৩৬) ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ৫ নং কাঁচেরকোল ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মো. ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে।
অভিযোগের সূত্র ধরে জানা যায়, ভুক্তভোগী অনুমান ০২ বছর পূর্ব হতে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে। বিবাদী ও একই গার্মেন্টসে চাকরি করত। গার্মেন্সে চাকরি করা কালীন সময়ে উভয়ের মধ্যে প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ০১ নং বিবাদী ভুক্তভোগীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকাতে একটি বাসা ভাড়া করে রাখতো এবং ৯ মাস স্বামী স্ত্রী রুপে দিনের পর দিন শারীরিক মেলামেশা করে। একপর্যায়ে ১ নং বিবাদী ভুক্তভোগীকে তার বাড়ীতে নিয়ে বিবাহ করবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করে।
গত ১০ জুলাই বিবাদীর বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং ভুক্তভোগীকে বিবাহ করেছে বলে তার পরিবারের লোকদের জানায়। পরবর্তীতে সকল বিবাদীগণ যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১৬ জুলাই বেলা অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় ০৪ ও ০৫ নং বিবাদীদের গ্রামের বাড়ী পদমদী নিয়ে যায়। সেখানে ভুক্তভোগীকে দুই দিন রাখার পরে গত ১৯ জুলাই সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় সকল বিবাদীগণ ভুক্তভোগীর নিকটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা সহ তার ব্যবহৃত এক ভরি ওজনের বিভিন্ন ধরনের স্বর্নালঙ্কার কেড়ে নিয়ে মারধর করে বাহির করে দেয়। তারপর হতে বিবাদীগণ তার কোন খোজ খবর রাখে নাই।
অন্যদিকে এ ঘটনার পর গত শুক্রবার (২১ জুলাই) থেকে থেকে বিয়ের দাবিতে ৩ দিন ধরে প্রেমিক সুমনের বাড়িতে অবস্থান করছেন ভুক্তভোগী। তবে এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুমন পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী শারমিন আক্তার জানান, আমার সাথে যা ঘটেছে সেটা আমার জন্য কলঙ্কজনক। আমার যে সম্পদ ছিল সব নিয়ে তার কাছে আসলে তারা সব ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি চাই আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দান করুক। এছাড়া মৃত্যু ছাড়া আমার কোন উপায় নেই।
এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত সুমন হোসেনের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য একলাছুর রহমান জানান, তিন দিন ধরে বিয়ের দাবিতে একজন সুমনের বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে শুনেছি। এ ঘটনার পর ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ডাকা হলেও কেউ এখনও আসেনি।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। থানায় একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের বিষয়টির তদন্ত চলমান রয়েছে।