ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার সমর্থক বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে চলছে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট। শৈলকুপা উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণার পর থেকে তৃনমুলে সংঘাত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে নির্বাচনে তফশীল ঘোষনার পর হাকিমপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বর পদপ্রার্থীরা তাদের প্রচারণা শুরু করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা। এ নিয়ে ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। এতে পুলিশ সদস্যরাও টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশও কঠোর ভুমিকা নিয়েছে। স্থানীয়দের আশংকা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে গ্রামগুলোতে। তবে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রনে তৎপর থাকলেও আরও কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান সাচ্ছু অভিযোগ করেন, শৈলকুপায় শিকদার পরিবারের কারণে হাকিমপুর ইউনিয়নের সকল গ্রামের নিরীহ মানুষ আজ আতংকে আছেন। এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি, মারধর, হামলা, ভাংচুর করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর, আওয়ামী লীগ নেতাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিরোধিতা করা ওই পরিবারের হাত থেকে মুক্তি চায় ইউনিয়নবাসী। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, হাকিমপুর ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আগামী নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। সেই সাথে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার তাই তাই করা হবে।