ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কোরবানির ঈদে শ্বশুরের বাড়ি থেকে দাওয়াত না দেওয়ায় সাথী খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পর ঘরে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ফজলু মন্ডল নামে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। রোববার (২৫ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এঘটনার পর থেকেই স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছে । নিহত সাথী খাতুনের বাবা ভাটবাড়িয়া গ্রামের নজরুল মন্ডল জানান, তার মেয়ের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা সাথীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। কোরবানির ঈদে আর্থিক অনটনের কারণে জামাইকে দাওয়াত না দেয়ার অপরাধে শনিবার দিনে ও রাতে সাথীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর সে মারা যায়। মৃত্যুর পর আত্মহত্যার নাটক সাজাতে ঘরের বারান্দায় তার মেয়েকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। রোববার সকাল ৭টার দিকে তিনি তার মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পান। ঘটনার পরপরই তার জামাই ফজলু ও ফজলুর বাবা বারিক মন্ডল সহ বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে মেয়ে সারমীন জানান, শনিবার সকালে মাকে নির্যাতনের সময় তার দাদা ও দাদী মায়ের বুকের উপর পরে যায়। তখন থেকেই সে আর কথা বলতে পারে না। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ রেজউল ইসলাম জানান, সাথী ও তার স্বামী ফজলুর মধ্যে দীর্ঘদিন অশান্তি ছিল। নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের কালো দাগ ও গলায় রশির চিহৃ পাওয়া যায়। রোববার বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে নির্যাতনের কালো দাগ রয়েছে বলে জানা যায়।