সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জামান রাজ বলেন, উক্ত মামলায় (ঝিনাইদহ থানার মামলা নং ০৩, তারিখ: ০১/১২/২০২০ (ঝি জি আর-৪৯৪/২০) হুকুমের আসামী হিসেবে ১ নং আসামী ঝিনাইদহ শহরের ০৩ নং পানির ট্যাংকি পাড়া নিবাসী ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাকিম মনির এছাড়াও আসামীদের মধ্যে রয়েছে তারই পিএস খ্যাত একই এলাকার মোঃ রকি, মোঃ শাকিল রায়হান, মোঃ সোহাগ হোসেন, মো: পারভেজ ও হামদহ খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা খন্দকার হাসিন সাহাদ জোহান।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড হওয়ার পরও গত ০৩ দিনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সাব ইন্সপক্টের (নিরস্ত্র) মোঃ আব্দুল হাই আসামী গ্রেফতার না করে বরং গত ০২/১২/২০২০ তারিখে আমার বাড়ি গিয়ে আমার বাবা মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। তিনি উচ্চসরে আমি কেন এত বড় মানুষের নামে মামলা করেছি জানতে চেয়েছেন। তিনি আমার বাবা ও আমাকে মামলা মিমাংসা করে নিতে বলেছেন। আমি আসামী গ্রেফতারের কথা বললে তিনি বলেন দেখা যাক আসামীরা জামিনও নিতে পারে। সর্বোপরি তার এহেন কার্যক্রম আমাকে হয়রানী ও পক্ষপাতমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
পুলিশ জনগণের বন্ধু, মানবিক পুলিশের এরকম আচরণ আমাদের কারোরই কাম্য নয়। এই ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কোন আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে আমার ও আমার পরিবারের উপর মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে। এখন আমার উপর আবারও হামলা হতে পারে বলে আমি প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছি। তিনি সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে সকল আসামীদের গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ও তার ও তার পরিবারের জানমালের নিরাপত্তার দাবী জানান।