Header Border

ঢাকা, শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল) ২৮.৯৬°সে

ক্যাপ্টেন আমেরিকার প্রস্তাব পেয়ে বলেছিলেন, ‘না, থাক’

৪০ পুরো করে গতকাল ৪১–এ পা দিলেন ক্রিস ইভানস। স্বনামে যাঁরা তাঁকে চেনেন না, তাঁরা ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ হিসেবে অন্তত তাঁকে চিনবেন। অনেক কিছুই দিয়েছে তাঁকে এই চরিত্র। অথচ প্রথম যখন এই চরিত্র করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, বলেছিলেন, ‘না, থাক।’

আর এখন ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ বা স্টিভ রজার্স চরিত্রে ক্রিস ছাড়া অন্য কাউকে মেনে নেওয়া ভক্তদের জন্য প্রায় অসম্ভব। ‘দ্য ফ্যালকন অ্যান্ড দ্য উইন্টার সোলজার’ টিভি সিরিজে যখন ওয়াইট রাসেল চরিত্রটি করেন, ফুঁসে উঠেছিলেন দর্শকেরা। যদিও তাঁরা জানতেন, এ চরিত্রে তিনি সাময়িক। তবু তাঁরা অনলাইনে ‘নট মাই ক্যাপ’ (সে আমার ক্যাপ্টেন না) প্রচারণা শুরু করেন। আর এখন সেই জায়গা নিয়েছেন স্যাম উইলসন আর মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতাও পেয়ে গেছেন। কেননা, দেখতে তিনি অনেকটা স্টিভেরই মতো। তবে তারপরও ক্যারিশম্যাটিক উপস্থিতি, বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় ও চরিত্রায়ণের জন্য আদর্শ ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’র সম্মান ক্রিস ইভানসই পাবেন।

অথচ চরিত্রটা যখন ক্রিসকে দেওয়া হয়, প্রস্তাবটা তাঁর কাছে অতটা লোভনীয় মনে হয়নি। তার ওপর আবার ছবির প্রযোজক মার্ভেল স্টুডিওর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ চুক্তিতে যেতে হতো। তখন তিনি ‘জনি স্ট্রর্ম’ বা ‘হিউম্যান টর্চ’ চরিত্রটি করছিলেন। ‘হিউম্যান টর্চ’ হিসেবে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ ও ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: রাইজ অব দ্য সিলভার সার্ফার’ ছবি দুটিতে কাজ করেছিলেন তিনি।

যদিও ছবি দুটি ও ক্রিসের অভিনয় দর্শক–সমালোচকের মন জয় করতে পারেনি। সেই কারণেই কি না, কে জানে, ক্যাপ্টেনের প্রস্তাবটাও ক্রিসের ভালো লাগেনি। সে কারণে প্রস্তাব পেয়ে রাজি হননি তিনি। ভেবেছিলেন, এত সমালোচনার পর আবার সুপারহিরো! তা ছাড়া ‘ক্যাপ্টেন’ সিরিজে যুক্ত না হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল, ছয়টি ছবিতে একসঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। মার্ভেলের সঙ্গে প্রায় এক দশক লেগে থাকতে হবে। একজন অভিনেতার জন্য এ এক ক্লান্তিকর ও সম্ভাবনা বিনাশী ব্যাপার!
হলিউড রিপোর্টারের অ্যাওয়ার্ড চ্যাটার পডকাস্টের এক পর্বে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন ক্রিস। ‘ক্যাপ্টেন’ হিসেবে প্রস্তাব পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, ‘দাঁড়াও, একটু ভেবে নিই। ভাবলাম, এ তো রীতিমতো প্রলোভন! আবার জীবনের পথে এক রকম কাঁটার মতো। আমাকে জেগে উঠতে হবে, নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণটা নিজের হাতেই রাখতে হবে। ফলে এসব চুক্তিতে যাওযা যাবে না। বললাম, ধন্যবাদ, বাদ দেন।’ কিন্তু অমরত্ব জোর করে তাঁর পকেটে ঢুকে গেল। মার্ভেল স্টুডিওর প্রধান ভীষণ পীড়াপীড়ি শুরু করলেন, ইভানসও রাজি না হয়ে পারলেন না।
‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’ মুক্তির পর এক সাক্ষাৎকারে ইভানস জানিয়েছিলেন, ছবিটায় যুক্ত হওয়ার পর তাঁকে রীতিমতো থেরাপি নিতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘স্টিভ রজার্সের ভূমিকাটা জানার পর আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। চুক্তি মেনে কাজ করতে গেলে তো আমার দৈনন্দিন জীবন এলোমেলো হয়ে যাবে। ছয়টি সিনেমা, মানে প্রায় ১০টা বছর! অভিনয় করতে ভালোবাসি সেটা ঠিক, কিন্তু আমি তো বড় তারকা হতে এত বদ্ধপরিকর ছিলাম না। ভেবেছিলাম, ছয় ছবির চুক্তি থেকে যখন খুশি বের হয়ে যাওয়া যাব, সেটাও সম্ভব নয়।’
‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার’–এর সিকুয়েল ‘দ্য উইন্টার সোলজার’, ‘সিভিল ওয়্যার’সহ চারটি অ্যাভেঞ্জার্স ছবিতে অভিনয় করেছেন ইভানস। বলা বাহুল্য, চরিত্রটিকে নতুন জীবন দিয়েছেন তিনি। সূত্র: ই–অনলাইন ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
Print Friendly, PDF & Email

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

প্রথমবার সালমানের ছবিতে গাইলেন অরিজিৎ 
সাকিবের বায়োপিকে শাকিব!
ভারত বধ করলে সাকিবের সঙ্গে ডেট করবেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী 
ওমর সানীর নতুন ‘লুক’ ভাইরাল
হিন্দি ভাষায় সেলিম আল দীনের ‘চাকা’
শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করাই আমার বড় প্রাপ্তি: ফারিয়া

আরও খবর

Design & Developed By VIRTUAL SOFTBOOK Premium Web & Software Solutions